স্পিনলঞ্চ কী? আর নয় রকেটে মহাকাশ অভিযানে আসছে নতুন চমক!
আমাদের গ্রহের বাহিরে কি আছে তা জানার ইচ্ছা বরাবরই সবার আছে। আর তাই বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন মহাকাশযান বা স্পেস রকেট। যা বাতাসে উচ্চ গতি ভ্রমন করে এবং বাতাসেই হলো রকেট চলার প্রথম অস্ত্র। আর তাই আমাদের (SpinLaunch) স্পিন লঞ্চ কী? জানার আগে আমাদের জানতে হবে মহাকাশযান রকেট সম্পর্কে।
১। মহাকাশযান রকেট কী?
২। স্পেস রকেট কত প্রকার ও কার্যপ্রনালী।
৩। (SpinLaunch) স্পিনলঞ্চ কী?
৪। (SpinLaunch) স্পিনলঞ্চ এর যাত্রা।
মহাকাশযান রকেট-
মহাকাশযান রকেটগুলো চলার জন্য একটি শক্তিশালি জেট ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে । যা একটি চেম্বার বক্স থেকে গ্যাস বের করে গতি তৈরি করে এবং এটি লঞ্চ টিউবে প্রপেলান্টের জ্বলন দ্বারাও চালিত হয়।
রকেটের সাহায্যে কৃত্রিম প্রোব, স্যাটেলাইট এমনকি মহাকাশচারীদেরও মহাকাশে পাঠানো যায়। এই অর্থে আমরা তথাকথিত মহাকাশ রকেটের অস্তিত্ব ভুলতে পারি না। এটি একটি অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিন দিয়ে সজ্জিত একটি মেশিন যা জেট প্রপালশনের জন্য গ্যাসের প্রসারণের জন্য গতিশক্তি তৈরি করে।
আরও পড়ুনঃ কম্পিউটারে কেন SSD ব্যবহার করা হয়? HDD কেন নয়? সহজেই জানুন সমস্যা, সমাধান ও সুবিধা।
স্পেস রকেট কত প্রকার ও কার্যপ্রনালী।
মহাকাশে যাওয়ার জন্য কয়েক প্রকারের স্পেস রকেট রয়েছে।যার মধ্যে গুরুত্বপূর্ন হলঃ-
১। একক ফেজ রকেট- একে মানোলিথিক রকেট এবং মালি্টফেজ রকেটও বলে। নাম থেকে বোঝা যায়, ক্রমানুসারে বেশ কয়েকটি পর্যায় রয়েছে।
২। কঠিন জ্বালানী- যেখানে অক্সিডেন্ট এবং প্রোপেল্যান্ট দহন চেম্বারে এবং তরল জ্বালানী রকেটগুলিতে কঠিন অবস্থায় মিশ্রিত হয়। পরেরটি বৈশিষ্ট্য হল যে অক্সিডেন্ট এবং প্রোপেল্যান্ট চেম্বারের বাইরে সংরক্ষণ করা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ন রকেট যারা সফল ভাবে নবচারীদের মহাকাশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।
১। Vostok-K 8K72K- এটি প্রথম নবচারী পরিবহনকারি রকেট।এটি রাশিয়ায় তৈরি করা হয়েছিল এবং ইউরি গ্যাগারিনকে মহাকাশে পৌঁছানোর প্রথম ব্যক্তি তৈরি করার জন্য দায়ী ছিল।
২। Atlas LV-3B- জন গ্লেনকে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছানোর প্রথম আমেরিকান রকেট তৈরি করুন।
৩। শনি ভি- যে রকেটটি নীল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স এবং বাজ অলড্রিনকে চাঁদে নিয়ে গিয়েছিল।
রকেট পরিচালনা কিছূটা কঠিন, তবে স্পেস রকেট মূলত নিউটনের তৃতীয় সূত্র, কর্ম ও প্রতিক্রিয়ার নীতি অনুসরন করে।রকেট পরিচালাতিক হয় মূলত গ্যাসের প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় গতিশক্তি তৈরি করতে একটি অভ্যন্তরীন দহন ইঞ্জিল ব্যবহার করে।
তাই রাসায়নিক দহন অত্যন্ত শক্তিশালী এবং প্রচুর বাতাসের শক্তি নিচে ঠেলে দেবে, নিউটনের তৃতীয় সূত্রে প্রতিটি বল বিপরীত দিকে সমান মাত্রার আরেকটি শক্তির সাথে মিলে যায়। অন্য কথায়, বায়ু গ্যাস দ্বারা প্রয়োগ করা নিম্মগামী শক্তি ধাক্কা দেয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী লি জং-হো বলেন, মহাকাশ কর্মসূচিতে এটি তাঁর দেশের বড় অগ্রগতি। বিশ্বে সপ্তমদেশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হলো।ভবিষ্যতে দেশটি মহাকাশ কর্মসূচিতে আরও এগিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
লি জং হো আরও বলেন, আগষ্ট মাসে চাঁদে পর্যবেক্ষণকারী মহাকাশযান পাঠাবে তাঁর দেশ।
আরও পড়ুনঃ হোয়াটসঅ্যাপ, ইমু, মেসেঞ্জার এবং স্কাইপ বিজ্ঞাপন ছাড়া অটো কল রেকড করুন সহজেই।
(SpinLaunch) স্পিনলঞ্চ কী?
স্পিনলঞ্চ একটি মহাকাশ গভষনা প্রতিষ্ঠান তাদের চিন্তা ধারা পুরো আলাদা নেই কোন রাসায়নিক ব্যবহার না কোন গ্যাস বাতাসের শূন্য ডিগ্রি কাজে লাগিয়ে তৈরি করেছেন মহাকাশযান।তবে এতে কেবল সেটেলাইট পাঠানো সম্ভব বলে যানা গেছে কারন (SpinLaunch) স্পিনলঞ্চ এর আকার ১০০ মিটার ও আকরিতি অনেক ছোট ।
স্পিনলঞ্চ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নিবাহী, জোনাথন ইয়ানি বলেন- রকেট একটি জলন্ত চেম্বার যেটা ক্রাইজনিক প্রোপলেন্ড পুড়িয়ে এমন তাপমাত্রায় পৌছায় যেটা সূর্যে এর চেয়েও বেশি । এছাড়া রকেট হাজারও এমন এমন যন্ত্রপাতি বা কম্পোনেন্ট দিয়ে তৈরি যেটা মানুষ চিন্তাও করেতে পারে না । আর রকেট এমন একটা পর্যায়ে থাকে মনে হবে যে কোন সময় ধংস্ব হয়ে যাবে।আর সে তুলনায় আমার স্পিনলঞ্চ কিছুটা কম ঝুকিপূর্ন। কেননা স্পিনলঞ্চ বায়ু মন্ডল বেদ করে ছুড়ে মারা হবে তাই এতে জ্বালানির ও ওজনের দরকার পড়ছেনা।
(SpinLaunch) স্পিনলঞ্চ ঘন্টায় ১৭ হাজার মাইল বেগে একটি ছোট স্যাটেল্যাইট নিয়ে কক্ষপথে চলে যেতে পারে।
আর ডেভিড ওরেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট, প্রযুক্তিবিদ বলেন- স্পিনলঞ্চ স্যাটাল্যাইটকে একে বারে গন্তভের কাছে নিয়ে যাবে।আর বাকি কাজটা ছোট একটি রকেটের কাজ। আর স্পিনলঞ্চ এর সামনে ও পিছনে ভারসম্মপূর্ন কেননা সামনে ও পিছনে ভারি পাখার মতো আছে যা ভারসম্ম এনে দেয় । অনেকটা ড্রাট এর মতো নিজে নিজে সোজা থাকতে পারে। আর টি ফুল স্পিড এ সবোর্চ্চ ১০ হাজার গ্রাম ওজন বহন করতে পারে তাই মানুষকে পাঠানো নম্ভব নয়।
কোম্পানিটি বলছে তাদের লক্ষ্য দিনে অন্তত ৫ বার রকেটি উক্ষেপন করা। আর প্রতিবারা উক্ষেপনের জন্য খরচ হবে অন্তত ৫ লক্ষ্য ডলারের মতো যেখানে রকেট নিক্ষেপনের খরচ ৭ মিলিয়ন এর মতো।
নিক্ষেপনের পূর্বে পযন্ত রকটটি পরীক্ষা চলছে নিউ ম্যাসিকো আর ক্যালফোনিয়ার লং বিচ এ।
(SpinLaunch) স্পিনলঞ্চটি ১২ মিটার আয়তনে লম্বা যা নিক্ষেপ সরাসরি বাতাসে লঞ্চ করবে না । লঞ্চ করার জন্য একটি টিউভ এর ব্যবহার করা হবে।টিউভটি শক্তিকর পজেক্ট ইষ্টাইল আর স্পেনিং আর্ম কার্বন ফাইবারের তৈরি কারন সেটি একমাত্র এতো গতি সজ্য করার ধারন ক্ষমতা রাখে।
স্পিনলঞ্চটি ঘন্টায় ১ হাজার মাইল গতি তুলার জন্য পুরো চেম্বারটি ফাপা থাকা লাগবে এবং কোন বাতাস থাবেনা।তাই কোন শব্দ হবে না ঘুরার সময়।
আর যদি বাতাস থাকতো তাহলে কিছুটা বোম বোম শব্দ হতো । যেহেতু বাতাস শূন্য তাই কোন বোম বোম শব্দ নেই কিন্তু কিছুটা শো শো শব্দ হয় যা ২০ Hz এর কম।
২০২১ সালের অক্টোবরে কম্পানিটি প্রথম পরীক্ষা চালায় রকেটটি নিক্ষেপ করে বুঝা যায় র্কবন ফাইবারের ড্রাক দিয়ে যেমন উক্ষেপন সম্ভব তেমনি এটা ভালো ভাবে লেন্ড ও করতে পারে। কোম্পানিটি চিন্তা অতি ধ্রুত তারা আরো ভালো কিছু করবে।
স্পিনলঞ্চ এর যাত্রা